ইতিহাস
পদ্মা-যমুনা বিধৌত শিবালয় ইউনিয়ন, ইউনিয়নের একটি অংশ আরিচা ঘাট। যে ঘাট দেশ বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে আরিচা নৌ-বন্দর হিসেবে। এই নৌ-বন্দর দিয়েই দেশের উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের প্রায় 20টি জেলায় যাতায়াত করতো দেশের মানুষ। কিছুদিন পূর্বে যমুনা সেতু নির্মান হওয়ায় এবং আরিচার সামান্য অদুরে পাটুরিয়ার ফেরীঘাটটি স্থানান্তরিত হওয়ায় শিবালয়ের গুরুত্ব কিছুটা হলেও হ্রাস পায়, কিন্ত কিছু দিনের মধ্যেই আরিচায় একটি গরুহাট স্থাপন হওয়ায় এবং আরিচার পতিত জমিতে প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ঘোষনা দেওয়ায় শিবালয়ের হারানো গৌরব আবার ফিরে পায়। মাইলের শিবালয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠিত হাটকে ঘিরে ব্যাপক করমোচাঞ্চন্য সুরুহয়। নৌ পরিবহন ও ঘাট সংশ্লিস্ট দুইটি অফিস হলো বি আইডাব্লিউটিএ এবং বিআইডাব্লিউটিসি এই শিবালয়ে অবস্থিত। পিসিপোল নিমান এর বৃহত্তম কারখানাটিও শিবালয়ে অবস্থিত। এসব মিলিয়ে শিবালয়ের গুরুত্ব দিনেদিনে বাড়ছে । কৃষিপ্রধান এই ইউনিয়নের চাকুরীজীবির সংখ্যাও নেহাত কমনা দেশে বিদেশে চাকুরী করে তাহারা এলাকাটিকে অথনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করছে। শত করা ৮০%ভাগ শিক্ষিতের এই ইউনিয়নের ১ টি কলেজ, ৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ২টি মাদ্রসা ২টি বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও ছোট বড় প্রায় ১৫টি শিশুনিকেতন(কেজি) স্কুল আছে, ধমীয় সহানুভুতিক সংস্থানটি গুল ইউনিয়নে ৪০টি মসজিদ ৯/১০টি মন্দির আছে। সহানুভুতি ভ্রাতূত্ববোধের অভাব নেই ইউনিয়ন বাসির মধ্যে। যার কারনে রাজনৈতিক হানাহানি এই ইউনিয়নে নেই বলে চলে। এই ইউনিয়নের বাজারে উঠা ইলিশ দেশ- বিদেশে অনেক পরিচিতি পেয়েছে, ভৌগোলিক ভাবে শিবালয় ইউনিয়ন একটি সুবিধা জনক স্থান দখল করে আছে। বন্যা কবলিত এই ইউনিয়নের তিন গ্রাম আছে। যমুনার মাঝস্থানে দ্বিপের মত ঐসব চরঞ্চলে বাস করে প্রায় ৪০০০(চার হাজার) মানুষ যার বেশিরভাগ কৃষি জীবি মস্যজীবি যমুনার বেপক ভাংঙ্গনে বিলিন হয়েগেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস